পশুর নদীর ছড়া
- আল মামুন মাহবুব আলম ২৭-০৪-২০২৪

চক্ষু ছুয়ে বললো সেদিন
আরে আমার বড়দি,
নিজের চোখেই দেখেছে সে
ব্যাঙ.এর হতে সর্দি।

সন্ধ্যে বেলা যাচ্ছে আলো
আসছে হয়ে দৃষ্টি ক্ষীণ
বাবার ড্রয়ার খুলেই পেলো
দশটি বড়ি হিস্টাসিন।

‘বলছো কি মেয়ে’,’বলিস কি যে!
ব্যাঙ্গের আবার সর্দি হয়?
হতেই পারে,ভালোও হয়,
যদি আমার বড়দি কয়!


বললে আমি, হেসেই উড়ে
দিলেও দিতে পারোই বটে,
সেদিন দেখি ব্যাঘ্রমামা
চিবুচ্ছে ঘাস পশুর তটে।

পশুর বলতে ভাবছো সবাই
চারঠ্যাঙ্গা কি?
সেথায় ঘোরে কুমীর ও বাঘ
আর ব্যাঙ্গাচি!

তবুও সবাই থাকছো কেন
বিদঘুটানি হাঁ-করে ?
একেবেঁকে সুন্দরবনে
ছুটছে পশুর সাঁ-করে!

হরিন টরিন সবই আসে, মোষও আসে;
সেই নদীতে গামছা মাথায় ঘোষও আসে!
ঘোষ চেনোনা? বিশ্বাসী সে,
নিতাই চরন গয়লা ,
দুধের ভিতর মিশিয়ে পানি
সাফ করে সব ময়লা!

চাচ্ছো দিতে শক্ত মতন ধমকানি
রোজ রাত্তিরে পিলেও খায় চমকানি!
বকছো কেনো সাতসকালে
আমার কথায় একঘেঁয়ে
এমন কিছু শুনলে জানি
বলবে সবাই দেখ চেয়ে!

ব্যাঘ্র মশায় ঘাস চিবিয়ে
হেসে বলে, টেস্টি বেশ!
হরিন ছাগল খেলাম শুধু
স্বাদে সেরা ঘাসটি শেষ!

একি দেখি চোখ যে কেনো
কপাল ছুয়ে গগন ধায়,
আমার কথায় হাসছো সবাই
পালিয়ে দেখাও লগন যায়!

সারা জীবন ছুটছো কেবল
স্বপ্নহারা স্বপ্নছায়,
কেউ কখনো বুঝছো নাতো
নেতার বোলে লগ্ন যায়।

ছুটলে আবার কাটিয়ে দিলে
আজগুবি সব বোলচালে
জার্সি বদল বচন-বাচন
আরাম করে ঘোল ঢালে!

ঘোলের দোলায় আলাভোলায়
সেজে কেমন ঘাড় নাড়াও
দেখতে যদি আয়নাতে মুখঃ
চলতে সবাই ঘাড় ছাড়াও!

ঢাকা ০৪/০৯/২০১৪
রাত ০৯ঃ৪৫টা

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।